আতঙ্কের আরেক নাম ওমিক্রন। দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট। ক্রমশই চওড়া হচ্ছে তার থাবা। এই আবহে অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলার করোনা পরিস্থিতিও ফের যেভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলস্বরূপ আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় ফিরতে পারে কনটেনমেন্ট জোন। বুধবার এ নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক সমীক্ষার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং সেই সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে কী কী করোনা বিধি কার্যকর করতে হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাইরে থেকে আগত বিমানের জেরেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা বিস্তারিতভাবে জানান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি জানান, যাঁরা বিমানে করে কলকাতায় আসছেন, তাঁদের করোনা রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে বিমানে তাঁর আশপাশে থাকা লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ফোন করা হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে।
সেই প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, ‘যাঁরা বাইরে থেকে আসেন, তাঁদের তো বেশিরভাগ কলকাতায় থাকেন। কলকাতায় দিয়েই যাতায়াত করেন। সুতরাং কলকাতায় যদি কিছু কনটেনমেন্ট জোন করতে হয়, তাহলে দেখে নাও, ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড সার্ভে করে (ওয়ার্ডভিত্তিক সমীক্ষা করে)।’ তিনি জানান, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকে। তাই ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতার কোথাও কনটেনমেন্ট জোন করা হবে কিনা, তা নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে পর্যালোচনার নির্দেশ দেন। মমতা বলেন, ‘৩ জানুয়ারি থেকে প্রোটোকলটা কীভাবে কী করবে, তার আবার একটা পর্যালোচনা করতে হবে। দরকার হলে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করে দিতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’