এবার থেকে বাংলার সরকারি কর্মীদের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে করতে হবে। সরকারি কাজকর্মকে পুরোপুরি ‘ই-অফিস’ ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে সরকারি কর্মীদের অনেক কাজ এইচআরএমএস পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে করতে হচ্ছে। ছুটি, পদোন্নতি, বদলি, বেতন সংক্রান্ত কাজ পোর্টালের মাধ্যমে হয়। এবার আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ অনলাইনে করার কথা বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়েছে রাজ্য অর্থদফতর। সরকারি কর্মীদের বছরে দু’বার বাড়ি ভাড়া ভাতা সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র জমা দিতে হয়। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই সরকারি কর্মী হলে বাড়ি ভাড়া ভাতা একজন পান। এ ব্যাপারে ঘোষণাপত্র জমা দিতে হয়। এবার এইচআরএমএস পোর্টালে গিয়ে এই কাজ করা যাবে।
উল্লেখ্য, এতদিন সরকারি কর্মীরা মাসিক বেতন থেকে কত টাকা আয়কর খাতে কাটা হবে, তা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে লিখিতভাবে জানিয়ে দিতেন। এখন এই বিষয়টি পোর্টালে গিয়ে অনলাইনে করতে হবে। সরকারি কর্মীরা বেতন থেকে পিএফ খাতে নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি কাটাতে পারেন। এতদিন তা অফিসে লিখিতভাবে জানাতে হত। এবার সেটা অনলাইনে করতে হবে। নথিভুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করা সহ আরও কিছু কাজ অনলাইনে করার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, সরকারের লক্ষ্য অফিসে ই-ফাইল ব্যবস্থা চালু করা। আংশিকভাবে এই কাজ হয়েছে অনেক দপ্তরে। পুরোপুরি ই-ফাইল ব্যবস্থা চালু হলে সব ফাইল চালাচালি হবে অনলাইনে। এতে ফাইল হারিয়ে যাওয়ার বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। প্রয়োজনে বাড়িতে বসে কর্মীরা অনলাইনেও ফাইলের কাজ করতে পারবেন। তবে ই-ফাইল ব্যবস্থা চালু করতে হলে পুরনো ফাইলগুলিকে স্ক্যান করে কম্পিউটারে নথিভুক্ত করতে হবে। আর্থিক নিষোধাজ্ঞা থাকার কারণে অফিসগুলি স্ক্যানার, কম্পিউটার প্রভৃতি কিনতে পারছে না এখন। আর্থিক বিধিনিষেধ উঠে গেলে এই কাজে গতি আসবে বলেই অনুমান সরকারি আধিকারিকদের।
