দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট ম্য়াচের প্রথমদিন শুরুটা বেশ ভালো করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। কেএল রাহুল এবং ময়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুয়াতি যুগলবন্দীতেই ১০০ রানের চৌকাঠ টপকে যান। কিন্তু এই পার্টনারশিপ যেভাবে ভেঙেছে, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে যেভাবে এলবিডাব্লু আউট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
আউট হওয়ার আগে কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ময়াঙ্ক আগরওয়াল ১১৭ রানের জুটি গড়েন। ২০১১ সালের পর এই প্রথমবার ভারতীয় ওপেনিং জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শতরানের যুগলবন্দি গড়লেন। প্রথম দিনের শেষে ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্কোর ২৭২-৩ ছিল।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই সিরিজটা শুরু হওয়ার আগে দলের প্রথম একাদশে ময়াঙ্ক থাকবেন কি না, সেটাই নিশ্চিত ছিল না। কিন্তু, রোহিত শর্মা চোট পাওয়ার কারণে ময়াঙ্কের জায়গাটা একেবারে পাকা হয়ে যায়।
আসলে, ভারতের এই দুই ক্রিকেটার যখন উইকেটে কার্যত জমে গিয়েছিলেন, ঠিক সেইসময় ৪১তম ওভারে বল করতে আসেন লুঙ্গি এনগিডি। ওভারের দ্বিতীয় বল ময়াঙ্কের প্যাডে এসে লাগে। প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল, বলটা বোধহয় লেগ স্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে উচ্চতাও বেশ খানিকটা ছিল। এই পরিস্থিতিতে ফিল্ড আম্পায়ার প্রথমে নট আউটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকা দল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের আবেদল করে। যখন বলটা থার্ড আম্পায়ারের কোর্টে যায়, তখন তিনটে লাল মার্কই স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়। আর সেইসঙ্গে ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে আউট দিয়ে দেওয়া হয়। খানিকটা বিরক্ত হয়েই ময়াঙ্ক আগরওয়াল প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন।
ম্যাচের পর এই প্রসঙ্গে ময়াঙ্ককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সেকারণে প্রশ্নটা আমি এড়িয়ে যেতে চাই। কারণ কিছু বললেই তো আমি ব্যাড বুকে চলে যাব। সেক্ষেত্রে আমার টাকাও কেটে নেওয়া হবে। প্রথম দিন ময়াঙ্ক ১২৩ বল খেলে ৬০ রান করেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। এই ইনিংসে ময়াঙ্ক ৯টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। পাশাপাশি দুরন্ত ব্যাটিং ছন্দে ছিলেন তিনি।
এভাবে আউট হওয়ার কারণে ভারতীয় নেট নাগরিকরা কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর টুইট করে জানিয়েছেন, ওই বলে কখনই আউট হতে পারে না। ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ময়াঙ্কের ভাগ্যটাই খারাপ ছিল। অনেকে তো আবার এই ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অনেকে আবার বলছেন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা।