পাকদণ্ডী রাজনীতিতে ক্রমেই বদলাচ্ছে সমীকরণ। সদ্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পাহাড়-নেতা বিনয় তামাং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে পৃথক পৃথক দল গড়েছিলেন বিনয়, অনীলরা। মোর্চার দায়ভার নিয়েছিলেন একা বিমল গুরুঙ্গ। সেই সমীকরণ পুরোপুরি ঘুরে গেল যখন বিনয় তামাং যোগ দিলেন তৃণমূলে। আর ঘাসফুলে যোগদানের পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিনয়।
পাহাড়-নেতা বিনয় তৃণমূলে যোগদানের পরেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘গোর্খাদের কোনও মৃত্যুসংবাদে কোনও শোকপ্রকাশ পর্যন্ত করেনি। পাহাড়ের কোনও উন্নয়ন হয়নি। পাহাড়ে এসে কেবল ভোট নিয়েছে বিজেপি। নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু কোনও কাজ করেনি’।
পাহাড়ে রাজনীতির সমীকরণ বিভিন্নসময়ে বদলায়। বদলিয়েছে। সেই পরিবর্তন দেখা গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের অনতিপরেই মোর্চার ভার বিমল গুরুঙ্গের হাতে তুলে দিয়ে শিবির ত্যাগ করেন বিনয়। কিছুদিন পরে তাঁদের একত্রে বৈঠক করতেও ফের দেখা যায়। এরপরেই পৃথক দল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন বিনয়ের সঙ্গী অনীত থাপা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনীতের নতুন দল আত্মপ্রকাশও করে। বিনয়ও একটি নতুন দল গড়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
এখানেই শেষ নয়, এরপর মুখ্য়মন্ত্রীর কার্শিয়াঙের প্রশাসনিক বৈঠকে দেখা যায় উপস্থিত রয়েছেন অনীত থাপা। কিন্তু বিনয় বা বিমলকে দেখা যায়নি। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করেন পাহাড়ে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরোধিতায় যাবে না শাসক শিবির। বরং, পাহাড়বন্ধুদের নিয়েই কাজ করতে আগ্রহী ঘাসফুল। এরপরেই চলতি মাসেই তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন বিনয়। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন রোহিত শর্মাও। তিনি কার্শিয়াংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক। জিটিএ নির্বাচনের আগেই বিনয় তামাংয়ের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।