এর আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্ত্র ধরার আহ্বান জানান হয়েছিল হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদে। যা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। এবার বিতর্কে ছত্তিসগড়ের রায়পুরের ধর্ম সংসদ। রবিবার ছত্তিসগড়ের রায়পুরে আয়োজিত ধর্ম সংসদে মহারাষ্ট্রের হিন্দু ধর্মগুরু সন্ত কালীচরণ মহারাজ সেখানে গান্ধীজির নিন্দা করার পাশাপাশি তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করেন। তিনি ওই মন্তব্য করার সময় ধর্ম সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মহন্ত রামসুন্দর দাস মঞ্চ থেকে নেমে যান। ধর্ম সংসদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন রায়পুরের প্রাক্তন মেয়র প্রমোদ দুবে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে। রাজ্যে শাসক কংগ্রেসের সভাপতি মোহন মারকাম দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনতে হবে।
কালীচরণ মহারাজের ভাষণের এক ভিডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে শোনা যাচ্ছে, ধর্মগুরু বলছেন, রাজনীতির মাধ্যমে ইসলাম এই দেশ দখল করতে চায়। পরে তিনি বলেন, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী দেশকে ধ্বংস করেছেন। নাথুরাম গডসেকে তিনি কুর্নিশ করেন। শেষ কালীচরণ মহারাজ আহ্বান জানান, হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য ‘এক কট্টরপন্থী হিন্দু নেতাকে’ নির্বাচিত করতে হবে। কালীচরণ মহারাজ ওই মন্তব্য করার পরেই তীব্র প্রতিবাদ করেন মহন্ত রামসুন্দর দাস। বলেন, ‘এই মঞ্চ থেকে মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে। সনাতন ধর্ম এমন মন্তব্য অনুমোদন করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশে ৩০ কোটি মুসলিম বাস করেন। ১৫ লক্ষ খ্রিস্টানও বাস করেন। কেউ চাইলেই কি এই দেশ হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হবে?’ শেষে তিনি জানিয়ে দেন, ‘আমি এই ধর্ম সংসদ থেকে বিদায় নিচ্ছি।’