একবার কুলতলিতে বাঘের হামলায় জখম স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জোরকদমে বাঘ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য বনদফতর। জাল দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। একাধিক জায়গায় পাতা হয়েছে খাঁচা। তবে এখনও কেন বাঘকে খাঁচাবন্দি করা গেল না, তা নিয়ে বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বাঁশ, লাঠি হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরে কুলতলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। শুক্রবার কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার সময় এক মৎস্যজীবী তাকে দেখতে পান। শনিবার পিয়ালির নদীর পাশে প্রথমে পায়ের ছাপ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে কেল্লার জঙ্গলের কাছ থেকে শোনা যায় বাঘের গর্জনও। বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বনদপ্তর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জাল দিয়ে গোটা এলাকা ঘেরার কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন বনকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাও পাতা হয়েছে। তবে তাতেও লাভ কিছুই হচ্ছে না। এখনও অধরা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
আহত গ্রামবাসীর দাবি, হেঁটে যাতায়াতের সময় তাঁর উপর হামলা চালায় বাঘটি। তাতে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। বাঘের হামলায় আহত ব্যক্তির পাশে থাকার আশ্বাস দেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে বনদপ্তর যারপরনাই চেষ্টা করছে বলেও জানান। বনমন্ত্রী বলেন, “বাঘটি বর্তমানে কেল্লার জঙ্গলের কাছে একটি মাঠে বর্তমানে রয়েছে। গ্রামের বেশিরভাগ অংশ জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।” বাঘ বারবার নিজের অবস্থান বদল করায় তাকে খাঁচাবন্দি করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলেই দাবি বনকর্মীদের। গ্রামবাসীদের সতর্ক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় মৎস্যজীবী আবদুর রউফ শেখ বলেন, “নদীতে জাল ফেলতে যেতেই ভয় পাচ্ছি। বাঘের যা দাপাদাপি তাতে ঘরের বাইরে পা দিতেই পিলে চমকে উঠছে। এমনকী বাড়ির গবাদি পশুগুলিকেও নিরাপদ জায়গায় রাখতে হচ্ছে। কিন্তু তার কাছে আর কি নিরাপদ বলুন? এইভাবে যে কদিন চলবে তাও বুঝতে পারছিনা।” চারদিন কেটে গেলেও বাঘকে খাঁচাবন্দি করতে না পারায় বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তার উপর রবিবার এক গ্রামবাসী জখম হওয়ায় ক্ষোভের পারদ আরও চড়ছে তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই বাঁশ, লাঠি হাতে বাঘ ধরতে গ্রামে বেরিয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।