বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে বারবারই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকর। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। রাজভবন-বিধানসভার সংঘাতের আবহে এবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী সোমবার স্পিকার বিমানের ঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে উঠতে পারে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ। সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন বিধানসভার স্পিকার। এর পর স্পিকার-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, হাওড়া ও বালি পুরসভায় ভোট করানো নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে।
শুক্রবার হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেল হাওড়ার বিলে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের কথা বললেও, সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জানিয়ে দেন, হাওড়া বিলে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। পরে শনিবার বিরোধী দলনেতার কথায় সায় দিয়ে টুইট করেন ধনখড়। এতে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক যে আরও ‘জটিল’ হবে, তা নিয়ে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক মহলে। এমন জটিল আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্পিকারের বৈঠকের ফলাফল কী হয়, তার দিকে নজর রাখছেন পরিষদীয় রাজনীতির কারবারিরা। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকার ছাড়াও ওই বৈঠকে থাকতে পারেন রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবীরা।
যদিও সেই বৈঠকে কী আলোচনা হবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না বিধানসভা সচিবালয়ের আধিকারিকরা। তবে সূত্রের খবর, ওই দিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বিধানসভার সচিবালয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে। তবে আরও একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, শুধু বিধানসভা সচিবালয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি নয়, লাগাতার রাজ্যপালের ‘অসহযোগিতা’ও এই বৈঠকের মুখ্য বিষয় হতে পারে। গত বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া গণপিটুনি বিল এখনও আটকে রয়েছে রাজভবনে। আর হাওড়া সংশোধনী বিলটি রাজ্যপালের স্বাক্ষর না হলে হাওড়া পুরসভায় ভোট করা তো যাবেই না, বালি পুরসভার নির্বাচন আটকে যেতে পারে।