বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে বারবারই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকর।
বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সেই অভিযোগ যে মোটেও ভ্রান্ত নয়, এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার পরই শনিবার সকালে টুইটে ধনকর জানিয়ে দিলেন, হাওড়া এবং বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে তিনি এখনও সই করেননি।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলে সই করেছেন। কিন্তু রাজ্যপাল শনিবার টুইটে লেখেন, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ রাজ্যপাল অনুমোদন দিয়েছেন উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট ঠিক নয়। সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে বিলটি বিবেচনাধীন রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বালি এবং হাওড়া পুরসভার সংযুক্তিকরণ করে। বালির ৩৫টি ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ফলে ১৬-তে এসে দাঁড়ায়। তবে মাসকয়েক আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৩২ বছরের বালি পুরসভাকে হাওড়া কর্পোরেশন থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১ পাস হয়। ওই বিলে বালির ১৬টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাসের কথা রয়েছে। এই বিল রাজ্য সরকারের তরফে রাজভবনে পাঠানো হয়।
রাজ্যপাল এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চান সরকারের কাছে। এর পরেই বিধানসভার পক্ষ থেকে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলের যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের কাছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যপাল বিলে সই না করায়, হাওড়া পুরভোট করানো নিয়ে সমস্যায় পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা এবং হাওড়া পুরভোট একসঙ্গে করার ইচ্ছা ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু রাজ্যপাল বিলে সই না করায় আটকে যায় হাওড়া পুরভোট।