বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)। উত্তরপ্রদেশের ভোটে যখন বিজেপি ফের ‘হিন্দুত্ব’কেই হাতিয়ার করতে চাইছে, তখন অযোধ্যায় রামমন্দিরের জমি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিরোধীরা পাল্টা অস্ত্র পেয়ে গিয়েছেন।
এদিন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী নিজে এ বিষয়ে দিল্লীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি তুলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিক। কারণ সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯-এর নভেম্বরে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে সায় দেওয়ার পরেই বিজেপি, আরএসএসের নেতা, তাঁদের আত্মীয়স্বজন, সরকারি আমলা ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা অযোধ্যায় জমি কিনতে শুরু করেন। তার পরে সেই জমিই তাঁরা বিপুল টাকায় রামমন্দির ট্রাস্টকে বেচে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দলিতদের জমিও বর্ণহিন্দুদের হাতে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ ও তদন্তের দাবি তুলেছেন।
প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, রামমন্দির তৈরির জন্য গোটা দেশ থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। মানুষ ধর্মবিশ্বাস থেকে মন্দিরের জন্য টাকা দিয়েছেন। এখন সেই টাকা বিজেপি, আরএসএসের নেতারা লুট করছেন। অযোধ্যার বিজেপির মেয়র, রাম মন্দিরের ট্রাস্টি তথা আরএসএস নেতারা এই লুঠের সঙ্গে যুক্ত। রামমন্দিরকে ভোটের ইস্যু করতে এত দিন বিজেপি বলছিল, কংগ্রেস, এসপি মন্দিরের পথে বাধা তৈরি করেছে। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘আমরা মন্দিরের টাকা লুটে বাধা দেব।’
