প্রোটিয়া সফরে পাড়ি দেওয়ার আগেই সাংবাদিক বৈঠকে সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বোর্ডের বিরোধিতা করা নিয়ে টানাপোড়েন এখনও অব্যাহত। এর মধ্যেই এ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। জানালেন, বিরাটের সঙ্গে এই সমস্যা আরও ভালভাবে সামলানো উচিত ছিল সৌরভের। উল্লেখ্য, সৌরভকে যখন অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছিল, তখন জাতীয় নির্বাচক ছিলেন কীর্তি। সেই সময় কী ঘটেছিল, সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রেগ চ্যাপেল যখন কোচ ছিল, এবং সৌরভকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি ওর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। নিজের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিরাটের সঙ্গে ওর অনেক আগেই কথা বলা উচিত ছিল। তার মানে এটা বলছি না যে, বিরাটের ব্যাপারটা আলাদা করে দেখতে হবে। এমন দাবি আমি করছি না। কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই, ও স্পেশাল ব্যাটার, স্পেশাল ক্রিকেটার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।”
পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ডের সভাপতির উদ্দেশে কীর্তি বলেন, “বিষাণ বেদী, সুনীল গাওস্করকে কী ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেটা আমরা জানি। বেঙ্কটরাঘবনের কথাই ধরুন। ও বিমানে ছিল। নামার পর শুনল অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে ওকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সৌরভেরও উচিত ছিল নিজের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রাখা।” ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসাটাও কীর্তির মনঃপূত হয়নি। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য বলেন, “আরও ভাল ভাবে ব্যাপারটা সামলানো উচিত ছিল। সৌরভের মতো একজন শীর্ষপদে থাকায় ক্রিকেটীয় ব্যাপারে আরও বেশি পেশাদারিত্ব দেখানো উচিত ছিল। বিশেষত প্রাক্তন একজন অধিনায়কও (আজহারউদ্দিন) এ ব্যাপারে টুইট করেছিলেন। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ ভাবে গোটা ব্যাপারটা জনসমক্ষে আসাই উচিত হয়নি।”
