বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া। আর সেই ঝগড়ার পরিণতি হল মর্মান্তিক। নৃশংস ভাবে ১৪ বছরের এক কিশোরকে খুন করল তারই এক বন্ধু। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে তার দেহ খণ্ড খণ্ড করে কেটে বস্তায় ভরে ফেলে এল জঙ্গলে। তবে শেষ পর্যন্ত রেহাই পায়নি সে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে। এমনই ভয়াবহ এক ঘটনাক সাক্ষী থাকল ঝাড়খণ্ড। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
পুলিশ জঙ্গলে দেহ উদ্ধার করেছে। তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অবিনাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সে নিজের অপরাধ কবুলও করেছে। তার কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরি ও খুন হওয়া কিশোরের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরের। তার পরিবার স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়রি করলে তদন্তে নামে পুলিশ। আটক করা হয় নিহত কিশোরের এক বন্ধুকে। তারও বয়স ১৪। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই ক্রমে সামনে আসে আসল ঘটনা।
পুলিশি জেরার মুখে ওই কিশোর জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রোহিণী গ্রামে আক্রান্তের বাড়ির সামনেই তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। এরপর তারা একসঙ্গে হেঁটে কুমারবাদ স্টেশন রোডের দিকে যেতেই সেখানে অভিযুক্ত অবিনাশ হাজির হয়। তারা তিনজনে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই অবিনাশের সঙ্গে নিহত কিশোরের ঝগড়া শুরু হয়।
ক্রমে ঝগড়া এমন জায়গায় পৌঁছয়, অবিনাশ পকেট থেকে একটা ছুরি বের করে কোপ বসায় কিশোরটির বুকে। তারপর তার গলা কেটে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় ছেলেটির। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে মৃত কিশোরের হাত, পা আলাদা আলাদা করে কেটে তিনটি বস্তায় ভরে অবিনাশ। তারপর সেটা ফেলে আসে জঙ্গলের গভীরে।