কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশের পর দিনই দিল্লী ছুটে গিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাসভবনে গিয়ে সকাল-সকাল তার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনাও। যদিও শাহী বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ্যপাল। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ছবি টুইট করেছেন তিনি। বুধবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রবীণ তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, ‘রাজ্যপাল একজন হতাশ এবং ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। ওঁর মেয়াদ এখন শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন দিল্লীতে এসে দরবার করছেন যাতে আরো কিছুদিন থাকা যায়। উনি রাজ্য বিজেপির সভাপতির মতো বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। এটি লজ্জার।’
রাজ্যপালকে একহাত নিয়ে সৌগত আরও বলেন, ‘এর আগে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী রাজ্যপাল ছিলেন। বর্তমান রাজ্যপালের চেয়ে উনি অনেক বেশি বিজেপি ছিলেন। এই রাজ্যপাল তো আগে চন্দ্রশেখরের দলে ছিলেন। পরে জাম্প করে বিজেপিতে গিয়েছেন। ইনি কোনও মর্যাদা রেখে চলেন না। আমরা বারবার ওকে বলেছি, মর্যাদা রেখে চলতে। কিন্তু, উনি শোনেন না।’ অন্যদিকে, পুরো নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হওয়ার পর রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন রাজ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। গণতন্ত্র নেই। এ নিয়ে দিলীপকেও একহাত নিয়েছেন সৌগত।
তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ আমাদের থেকে বয়সে ছোট। জীবনে প্রথম নির্বাচন লড়েছেন ২০১৬ সালে। আমি ১৯৭৭ সাল থেকে লোকসভার সদস্য। উনি যদি কিছু বলেন তার কোন গুরুত্ব নেই। তার কারণ, উনি বিজেপির অপসারিত সভাপতি। দু-একটা যদি ঘটনা ঘটে থাকে সেটা দুঃখজনক। কিন্তু ১৪৪টা ওয়ার্ডে ঘটনা ঘটেনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ছিল। তিনি তৃণমূলের লোক নন।’ বিজেপির হিংসার অভিযোগ প্রসঙ্গে সৌগতর পাল্টা বক্তব্য, ‘হিংসার অভিযোগ তারাই করছেন, যারা হেরে গিয়েছে। তাদের অজুহাত। দিলীপ ঘোষ পাঁচ দিন ধরে প্রচার করেছেন। তার প্রভাব কিছু পড়েনি। মাত্র ৩টি আসন পেয়েছেন। তার ব্যাখ্যা ওঁকে দিতে হবে। তাই এসব বলছেন।’