ফের মেঘালয়ে বিপাকে পড়ল কংগ্রেস। ১২ জন বিধায়কের তৃণমূলের যোগের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিলেন মেঘালয়ের বিধানসভার অধ্যক্ষ। ফলত এবার খাতায় কলমে মেঘালয়ে বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নিজেদের সংগঠন মজবুত করছে ঘাসফুল শিবির। অন্যান্য রাজ্যের তাবড় তাবড় নেতারাও যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। গত ২৫শে নভেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক। এরাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁর উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। আর তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতেই মেঘালয়ের বড়সড় ধাক্কা খেল হাত শিবির।
উল্লেখ্য, ১২ বিধায়কের দলত্যাগের পর কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল যে তৃণমূল দল ভাঙাচ্ছে। পাশাপাশি মেঘালয়ের বিধানসভার স্পিকারের কাছে দলত্যাগী বিধায়কদের বিধায়ক পদ ত্যাগ খারিজের আর্জিও করেছিল কংগ্রস। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হল না। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনেন স্পিকার। এরপরই তিনি মন্তব্য করেন যে, দলত্যাগী বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজের কোনও প্রয়োজন নেই। ফলে এবার মেঘালয় বিধানসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল। কেবল মুকুল সাংমা ও ১২ জন বিধায়কই নয়, তাঁদের পরই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন যুব কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি রিচার্ড মারাক। সেই সঙ্গে মেঘালয় কংগ্রেসের যুব সংগঠনের অধিকাংশ নেতা নাম লেখান তৃণমূল শিবিরে। যা স্বভাবতই তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি ও কংগ্রেসের দুশ্চিন্তার কারণ।
