ভবানীপুর উপনির্বাচনের ধারা বহাল রইল পুরনির্বাচনেও। কলকাতা পুরভোটের ফলাফল অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভার ৮ ওয়ার্ডেই জয় নিশ্চিত করেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচনের মাধ্যমেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সংখ্যক প্রাপ্ত ভোট ছিল তা বেড়েছে। কলকাতা পুরসভার ভোটকে বলা হয় মিনি ইন্ডিয়ার ভোট। আর তার মধ্যে ভবানীপুর হল এমন একটি বিধানসভা কেন্দ্র। যার আট ওয়ার্ডে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ। ফলে দেশের মানুষের কাছে ভবানীপুর বিধানসভার আট ওয়ার্ডের ফলাফল নজরে রাখার মতই।
একই সঙ্গে এই বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যে থাকা একটি ওয়ার্ড যা মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ওয়ার্ড, যেখানে প্রার্থী বদল করা হয়েছে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে ৬৩ নম্বর, ওয়ার্ড যেখানে বহুতল ও হিন্দি ভাষী ভোটারের সংখ্যা বেশি সেখানে তৃণমূলের লিড আছে ২২৪৬ ভোটে। ভবানীপুর বিধানসভা ভোটে লিড ছিল তৃণমূলের ৪১৩ ভোটে। পুরভোটে ব্যবধান হয়েছে বেড়ে ৩৭৪৩ ভোট।
ভবানীপুরে নজরকাড়া ওয়ার্ড ৭০। যে ওয়ার্ডকে বলা হয় মিনি গুজরাত। সেখানে উপনির্বাচনে তৃণমূল এগিয়ে ১৭২৪ ভোটে। যদিও বিধানসভা ভোটে সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ২০৯২ ভোটে। পুরভোটে সেখানে জয়ের ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৪০২৮ ভোটে। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল উপনির্বাচনে এগিয়ে ছিল ৫৯৮৩ ভোটে। বিধানসভা ভোটে এগিয়ে ছিল ১৯৬৫ ভোটে। পুরভোটে সেখানে এগিয়ে ৮৮৬১ ভোটে। আবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল উপনির্বাচনে এগিয়ে ছিল ৩৪৭৫ ভোটে। বিধানসভা ভোটে এগিয়ে ছিল মাত্র ৩৩৯ ভোটে। এবং পুরভোটে ব্যবধান ১৭৩৫ ভোটের।
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল উপনির্বাচনে এগিয়ে ছিল ৫৮২৮ ভোটে। বিধানসভা ভোটে সেখানে এগিয়ে ছিল ১৮৩১ ভোটে। পুরভোটে সেখানে ব্যবধান বেড়েছে ৬৪৯৩ ভোটের। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৪৮১০ ভোটে। আর পুরভোটে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩৮১ ভোটের। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড যা সংখ্যালঘু ভোট সবচেয়ে বেশি সেখানে তৃণমূল উপনির্বাচনে এগিয়ে ছিল ২১৬৭৫ ভোটে। বিধানসভা ভোটে সেখানে লিড ছিল ২১৩৭৯ ভোটে। পুরভোটে ব্যবধান হয়েছে ১৬০৭৭ ভোটের।