খোদ রাম জন্মভূমিতে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল এবার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, রাম জন্মভূমির একাধিক জমি ব্যক্তিগত মালিকানায় কেনা হয়েছে। আর তাতে নাম জড়িয়েছে বিজেপি বিধায়ক থেকে মেয়রের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বরের ঐতিহাসিক রায়ের (অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট) পর থেকেই মহার্ঘ হয়ে উঠেছে অযোধ্যার জমি। যদিও ২০২০ সালেই শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠিত হওয়ার পর তারা এখনও পর্যন্ত ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। তবে একইসঙ্গে ব্যক্তিগত মালিকানায় জমি কিনে ফেলেছেন বহু প্রভাবশালী, অভিযোগ এমনটাই।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যে রাম জন্মভূমিতে প্লট কিনেছেন বিধায়ক, মেয়র, উপ-জেলাশাসক, পুলিশ কর্তা এবং বহু সরকারি আধিকারিক। এমনকী এই প্রভাবশালীদের আত্মীয়রাও জমি কিনেছেন অযোধ্যায়। এখনও পর্যন্ত প্রভাব খাটিয়ে জমি কেনার ১৪টি ঘটনা সামনে এসেছে। এইসব জমি কেনা হয়েছে প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই।
ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে মহর্ষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্ট। দেখা গিয়েছে পাঁচটি প্লটের বিক্রেতা তারাই। অযোধ্যার সাম্প্রতিক জমির রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের থেকে ওই জমি কিনেছেন সরকারি আধিকারিকরা। তারপর তা আত্মীয়দের দিয়েছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। যেখানে তথ্য দেওয়া হয়েছে কে, কত টাকায়, কার কাছ থেকে কত পরিমাণ জমি কিনেছেন। রাম জন্মভূমির জমির ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে বিজেপি বিধায়ক ইন্দ্রপ্রতাপ তিওয়ারি ও বেদ প্রকাশ গুপ্তা, অযোধ্যার মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায়, অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার এমপি আগরওয়াল, অযোধ্যার মুখ্য রেভিনিউ অফিসার পুরুষোত্তম দাশগুপ্ত, ডিআইজি দীপক কুমার প্রমুখ।