তৃণমূল কংগ্রেস যে ‘ওয়াকওভার’ পাচ্ছে, তা স্পষ্ট ছিল। তবে কোন দল দ্বিতীয় হবে, তা নিয়ে যত চর্চা ছিল। শেষপর্যন্ত কলকাতা পুরনিগমের ভোটে ‘দ্বিতীয়’ হল বাম। একনজরে দেখে নিন, কলকাতা পুরনিগমের ভোটের ফলাফলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি – ‘দ্বিতীয়’ বাম, ৬ মাসে টিএমসির ভোট বৃদ্ধি ১১% – ৫ পয়েন্টে কলকাতার পুর নির্বাচন।
আসনের নিরিখে বামেদের থেকে এগিয়ে থাকলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বামেদের থেকে পিছিয়ে থাকল বিজেপি। গেরুয়া শিবির ভোট পেয়েছে ন’শতাংশের মতো। ৪৮ টি ওয়ার্ডে আছে দ্বিতীয় স্থানে। সেইসঙ্গে কলকাতায় যে বিজেপির সংগঠনের অবস্থা ভয়ঙ্কর খারাপ, তা আবারও প্রমাণিত হল।
বিরোধীদের মধ্যে লড়াই: তৃণমূল কংগ্রেস বহু এগিয়ে থাকলেও বিরোধীদের মধ্যে কিছুটা লড়াই হল। কংগ্রেস এবং বামেরা পেল দুটি করে আসন। তিনটি আসন পেয়েছে বিজেপি। ফলে বিধানসভা ভোটের মতো দ্বিমুখী লড়াই হল না।
বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় যত ভোট পেয়েছিল, তার থেকে কলকাতা পুরনির্বাচনে তৃণমূলের ভোট বাড়ল ১১ শতাংশ। এবার ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। জিতেছে ১৩৪ টি ওয়ার্ডে। কলকাতায় আরও মজবুত হল তৃণমূলের অবস্থান।
লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে ‘শূন্যের’ ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা অক্সিজেন পেল বামেরা। আগের থেকে আসন কমলেও দুটি ওয়ার্ডে জিতেছে সিপিআইএম। ৬৫ টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে আছে বামেরা। ১২ শতাংশের মতো ভোট গিয়েছে বামেদের ঝুলিতে। তার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের পরই ‘দ্বিতীয়’ স্থানে থাকল বামেরা। তবে বিজেপি বেশি আসনে জিতেছে।
বিধানসভা ভোটে দ্বিমুখী লড়াই হয়েছিল। প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে বামেদের কাছে ‘হেরে গেল’ গেরুয়া শিবির। মাত্র তিনটি ওয়ার্ড গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।