ফুটবলের প্রসারে নতুন নতুন ভূমিকা নিয়ে এর আগেও চমকে দিয়েছে আইএফএ। এ বার সবুজ ঘাস থেকে ফুটবলকে তারা নিয়ে যেতে চলেছে সমুদ্রসৈকতে। সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই বিচ ফুটবলের আয়োজন করতে চলেছে বাংলার ফুটবল সংস্থা। বাংলার ফুটবলের প্রয়াসে এবং প্রচারে যা এক অভিনব পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বিচ ফুটবল আয়োজন করা হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে জায়গা হিসেবে বকখালির কথা ভাবা হয়েছে। তবে পরের দিকে দিঘা-সহ অন্যান্য সমুদ্রসৈকতেও এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করার কথা ভেবেছে আইএফএ।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় ফুটবলাররাই খেলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ফুটবলকে পাহাড়ে ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ কাপ আয়োজন করেছে আইএফএ। তা যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে। পাহাড় থেকে অনেক ফুটবলারকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এখন রমরমিয়ে চলছে আন্তঃজেলা লিগ। কন্যাশ্রী কাপও রয়েছে। সব মিলিয়ে, ফুটবলকে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দিতে চাইছে আইএফএ।
বাংলা তথা ভারতে সে ভাবে না হলেও, গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় বিচ ফুটবল। বিশ্বে সাধারণত এটি বেশি পরিচিত ‘বিচ সকার’ নামেই। ১৭০টি দেশে এই খেলা প্রচলিত। শুধু তাই নয়, প্রতি দু’বছর অন্তর বিচ সকার বিশ্বকাপ আয়োজন করে থাকে ফিফা। এ বছরও অগস্ট মাসে রাশিয়ায় এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। জিতেছে আয়োজক দেশই। প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি পাঁচ বার জিতেছে ব্রাজিল। তিন বার জিতেছে রাশিয়া।
এত বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা আইএফএ-র কাছেও সহজ কাজ নয়। তারাও এই ফরম্যাট সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব জ্ঞান সঞ্চয় করার চেষ্টা করছে। মাঠের আকার, কোথায় ম্যাচ হবে সেই জায়গা চিহ্নিত করা, রেফারিদের সঙ্গে যোগাযোগ, বিভিন্ন দল গঠন ইত্যাদি নানা দিকে নজর দেওয়া হবে। দর্শকরা এই খেলা দেখতে পাবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপাতত, কোনও রকম ত্রুটি বিচ্যুতি ছাড়াই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা তাদের লক্ষ্য।