গত সোমবারই জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ ডিলিমিটেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, কমিশন বিজেপির স্বার্থে কাজ করেছে। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি তথা শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহ সহ জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভার বাকি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের নিজেদের খসড়ায় ডিলিমিটেশন কমিশন জম্মুতে ছয়টি নতুন আসন এবং কাশ্মীরের জন্য মাত্র একটি নতুন আসনের প্রস্তাব করেছে। কমিশনের প্রস্তাব গৃহীত হলে জম্মুতে ৪৩টি বিধানসভা আসন থাকবে এবং কাশ্মীরে ৪৭টি আসন থাকবে৷ কমিশন সদস্যদের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের পরামর্শ জমা দেওয়ার কথা বলেছে৷ এদিকে এই প্রস্তাবের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তার বিরোধিতায় সরব হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলি৷
এপ্রসঙ্গে মেহবুবা মুফতি বলেন, “ডিলিমিটেশন কমিশন সম্পর্কে আমার আশঙ্কা ভুল ছিল না। তারা জনসংখ্যা শুমারি উপেক্ষা করে এবং একটি অঞ্চলের জন্য ছয়টি এবং কাশ্মীরের জন্য একটি মাত্র আসন প্রস্তাব করেছে। এরা জনগণকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চায়। ধর্মীয় ও আঞ্চলিক লাইনে মানুষকে বিভক্ত করে বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য এই কমিশন তৈরি করা হয়েছে।” এদিকে ওমর আবদুল্লাহ এই বিষয়ে টুইট করে লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ কমিশনের খসড়া সুপারিশ অগ্রহণযোগ্য। আদমশুমারির তথ্য উপেক্ষা করে জম্মুতে ছয়টি এবং কাশ্মীরে শুধুমাত্র একটি নতুন বিধানসভা আসন তৈরির প্রস্তাব ন্যায়সঙ্গত নয়।” এই বিষয়ে সজ্জাদ লোন বলেন, “সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সুপারিশ সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। তারা পক্ষপাতিত্ব করছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের জন্য এটা বড় ধাক্কা।”
