এর আগে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা সহ ১২ বিধায়ক। তার পর থেকে কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। পঞ্চায়েত-জেলা পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও তৃণমূল স্তরের বহু কর্মীও দল ছাড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এনডিএ সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিল মেঘালয় কংগ্রেস। ৫ কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, এনপিপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে তাঁরা সম্পূর্ণ সমর্থন করবেন। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক ছিল। মাসখানেক আগে তাঁদের মধ্যে ১২ জন তৃণমূলে যোগ দেন। তার পর বিধানসভার বিরোধী দলের পদমর্যাদা হারানোর উপক্রম হয় কংগ্রেসের। শেষ পর্যন্ত দলের ৫ বিধায়ক বৈঠকে বসেন। ঠিক হয়, মেঘালয়ে এনডিএ সরকারকে সমর্থন করবে কংগ্রেস। ন্যাশানাল পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএর অন্যতম ছোট শরিক বিজেপি। দু’জন বিধায়ক রয়েছে গেরুয়াশিবিরের।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের পরিষদীয় দল ১৭ ডিসেম্বর এনডিএ সরকারের প্রধান মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেন। প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক আম্পারিন লিংডোহ বলেন, মেঘালয়ের জনগণের স্বার্থে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পূর্ণ সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছি। এই ইস্যুগুলিতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোন কোন ইস্যুতে কংগ্রেস এবং এনডিএ সরকার একসঙ্গে কাজ করবে, তাও জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন, “ইস্যুগুলির মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই, শিক্ষক এবং ইনার লাইন পারমিট।” উত্তর-পূর্বে কংগ্রেস এবং বিজেপি এই প্রথম হাত ধরছে এমনটা নয়। ২০১৮-তে কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট করে মিজোরামে চাকমা স্বশাসিত ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের ভোটে লড়ে। যদিও সেই জোট বেশিদিন টেকেনি। ২০১৫ সালে নাগাল্যান্ডে ৮ কংগ্রেস বিধায়ক নাগাল্যান্ড সরকারকে সমর্থন করে। পরে দল তাঁদের বহিস্কৃত করে।