বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে সিঙ্গুরে বিজেপির তিন দিনের ধর্না। আর তাতে নাকি ‘অপবিত্র’ হয়েছে আন্দোলনের পুণ্যভূমি। সে জন্যই শুক্রবার সকালেই ধর্নামঞ্চের সংলগ্ন এলাকা ‘শুদ্ধ’ করল কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। গোবর দিয়ে ধুয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ওই এলাকা শুদ্ধ করা হয়েছে। এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না এববং তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সিংহের ভেড়ি এলাকায় ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওই জায়গাতেই মহিলারা এসে জড়ো হন গোবর জল এবং ঝাঁটা হাতে। সিঙ্গুরের গোপালনগর, বেড়াবেড়ি, খাসের ভেড়ি, সিংহের ভেড়ি, দলুইগাছা, বাজেমেলিয়ার মতো গ্রাম থেকে ওই মহিলারা এসেছিলেন। ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও। শুদ্ধিকরণ করতে আসা স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তাতে এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কৃষক উপকৃত। চাষের জন্য যে অনুদান পাচ্ছি, তাও সারা দেশের মধ্যে নজিরবিহীন।” শুদ্ধিকরণ অভিযানে অংশ নেওয়া গোপালনগরের তারকবালা কোলে নামের এক মহিলা বলেছেন, “সিপিএম জমি নিয়েছিল। দিদি জমি দিয়েছেন। বিজেপিকে তাড়াব বলে ঝাঁটা নিয়ে এসেছি।”
এদিন এসেছিলেন সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বেচারাম মান্নাও। সেখানে তিনি বলেছেন, “সারা দেশে কৃষকদের প্রতি বঞ্চনা করেছে বিজেপি সরকার। কৃষকদের মারা হয়েছে। তাঁদের উপর এক বছর ধরে নিপীড়ন চালিয়েছে। এই পাপ করার পর সিঙ্গুরে এসে কৃষকপ্রেম দেখাচ্ছে। তাই সিঙ্গুরের কৃষকেরা এখানকার মাটি থেকে তাদের বিদায় করছে। এই মাটিতে বিজেপি-র মতো অপবিত্র শক্তির ছায়া পড়েছে। অশুদ্ধ হয়েছে জমি আন্দোলনের পুণ্যভূমি। তাই এই শুদ্ধিকরণ অভিযান।” সিঙ্গুরে বিজেপির ধর্নায় কৃষকদের সমর্থন ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।