ইউনেস্কোর ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’তে যুক্ত হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর আন্তঃসরকারি কমিটির ১৬তম অধিবেশনে এই সংযোজন করা হয়েছে। বহু অপেক্ষার পর এই স্বীকৃতি মেলায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ারে ভাসছেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা। আনন্দে মেতেছেন পুজোর শিল্পী থেকে কলাকুশলী— সকলেই। আর তাই কোভিডবিধি মেনে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করছেন উদ্যোক্তারা। তবে কবে, কীভাবে এই সেলিব্রেশন হবে, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বুধবার ইউনেস্কোর টুইটারে লেখা হয়, ‘সেলিব্রেশন ফর সিটি অফ জয়ের (কলকাতার উৎসবের পালা)। মানবসভ্যতার অতুলনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হল কলকাতার দুর্গাপুজো।’ ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সত্যিকারের সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে বাংলার এই পুজো। অর্থ-জাত-বর্ণ-ভেদাভেদ ভুলে সকলে মেতে ওঠেন উৎসবে। এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্যই ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা জিতে নিয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। এই স্বীকৃতি মেলার পরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা।
এ প্রসঙ্গে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের প্রেসিডেন্ট শ্বাশত বসু জানিয়েছেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি। সকল বাঙালি তথা ভারতবাসীর জন্য গর্বের দিন আজ। আমরা অনেকদিন ধরেই চেয়েছিলাম যে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিক। কারণ, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া মানে বিশ্বজোড়া নাম হওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা আরও আগে হল ভাল হত। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শেষমেশ এটা হল। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ আবার শিল্পী সনাতন দিন্দা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই জয়। দুর্গাপুজোর সাথে জড়িত সব সংগঠন , শিল্পী, সহশিল্পী সাথে অনুসারী শিল্প সংগঠক, প্রশাসন, আপামর ভারতবর্ষের জনগণের জয় হল।’