শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। মাঝে মাত্র দু’দিন। তারপরই কলকাতা পুরনির্বাচন। তার আগে শেষমুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত শাসকদল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার একদিনে তিন জনসভায় শামিল হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঘাযতীনের যুব সংঘের মাঠে যাদবপুর ও টালিগঞ্জের ১৯ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শুরু করেন তিনি। কলকাতার উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে নীল-সাদা রঙ প্রসঙ্গ টানলেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, “সৌন্দর্যায়নের স্বার্থে কলকাতায় নীল-সাদা রঙ করিয়েছিলাম। তখন অনেকে ব্যঙ্গ করেছিল। আর আজ, কলকাতা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে দিল্লী, মুম্বই শহরেও নীল-সাদা রঙ করা হচ্ছে। গোটা দেশের অনুপ্রেরণা কলকাতা, বাংলা।” আগামী ২ বছরে কলকাতার উন্নয়নের আরও একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, দশ বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর সৌন্দর্যায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিশেষ বিল্ডিংগুলিকে নীল-সাদা রঙ করা হয়েছে। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতার মন্তব্য, “সেসময় ‘আর্জেন্টিনা’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নীল-সাদা রঙই এখন পছন্দ করছেন দিল্লী, মুম্বইয়ের মানুষজন। তাই এই দুই শহরও নীল-সাদা রঙের দিকে ঝুঁকছে।” পাশাপাশি শহরে পুর পরিষেবার উন্নয়নে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ এবং মেট্রোরেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা। আগামী ২ বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে, এই ঘোষণা করে তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্র জলকর বসানোর জন্য় চাপ দিয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছি, জলকর বসানো যাবে না। তাই আঘমি জলকর মকুবও করে দিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, আগামী ২ বছরের মধ্যে গোটা কলকাতা শহরে মেট্রোপথে সংযুক্ত হয়ে যাবে। এমনই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি আরও বলেন, “কাজ করে যাওয়াটাই আসল। আমি মানুষের কাজ করব, মানুষের বিপদে গিয়ে দাঁড়াব। জল জমলে কী করে সরাতে হয়, দেখব। বিক্রমপুর ঝিল অনেকে বুজিয়ে দিতে চায়। মাল্টিস্টোরি করতে চায়। এটা আছে বলেই বৃষ্টির জলটা গিয়ে পড়ে ঝিলে।” পাশাপাশি আদি গঙ্গা ড্রেজিং এবং শুকিয়ে যাওয়া টালি নালার সংস্কারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।