বেহালায় রাস্তায় জল জমার সমস্যা তো রয়েছেই। তার পাশাপাশি রয়েছে যানজট। খুব তাড়াতাড়ি দূর হবে এসব সমস্যা। বৃহস্পতিবার, পুরভোটের দ্বিতীয় নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বেহালা মেট্রোর সব টাকা তিনি বরাদ্দ করেছেন। বলেন, “এখন আমার লক্ষ্য শিল্পোন্নয়ন।” প্রসঙ্গত, জল জমার সমস্যা রয়েছে বেহালায়। সেখানে পুরভোটের ২১ প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী পড়ে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণেই বেহালায় বেশি জল জমে। তিনি বলেন, “যাঁরা এলাকায় বাড়ি করবেন তাঁরাও সতর্ক থাকবেন, যেন নর্দমা বন্ধ না হয়।”
তিনি থাকলে মেট্রোর কাজ দ্রুত শেষ হত, এও জানান মমতা। বলেন, বেহালার মেট্রোর সব টাকা রেলমন্ত্রী থাকা সময় তিনি দিয়ে গিয়েছেন। “আমি থাকলে দুবছরে কাজ শেষ করে দিতাম”, দাবি তৃণমূল নেত্রীর। ডায়মন্ডহারবার দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেল তৈরি চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। এছাড়া মমতা বলেন, আরও নতুন উড়ালপুর তৈরি করে যানজটের সমস্যা মেটানো হবে। তাঁর অভিযোগ, মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ রেলের জন্য দেরি হয়েছে। কালীঘাটে দ্রুত শুরু হবে স্কাইওয়াক। যাদের দোকান সরাতে হয়েছে তাদের অন্য জায়গায় দোকান দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “এলাকায় সমস্যায় নজর রাখুন। গাড়িতে ঘুমোতে ঘুমোতে যাতায়াত করবেন না।”
অতিসম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। এই নিয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বলেন, “বিজেপি নেতার বলত, বাংলায় মমতাজি দুর্গাপুজো করতে দেন না। আজ দেখুন, দুর্গাপুজো বিশ্ব হেরিটেজে স্থান পেয়েছে।” তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, কলকাতার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার হবে যাতে গরীব মানুষরা অনুষ্ঠানের জন্য সেই জায়গা ভাড়া পান। তাদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতায় জলের জন্য কর দিতে হয় না। বিনামূল্যে রেশন-চিকিৎসা পরিষেবা রয়েছে। ২০২৪-এর মধ্যে বাংলার গ্রামে গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে যাবে। নাম না করে এদিন ফের মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “কোভিডের সময় গঙ্গায় দেহ ভাসান। আর ভোট এলে ডুব দেন।”