এবার ইউনেস্কোর ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যান্জিবেল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’তে যুক্ত হল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দুর্গোৎসব। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর আন্তঃসরকারি কমিটির ১৬তম অধিবেশনে এই সংযোজন করা হয়েছে। বহু রাষ্ট্রের সমর্থন সহ এই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এবছর সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর। দু’বছর আগে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে মেগা ফেস্টিভালের স্বীকৃতি দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। বাংলার দুর্গোৎসব ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এটা বাঙালিদের কাছে বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের মত।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই মহা ধুমধামের সঙ্গে বাংলায় পালিত হয় দুর্গোৎসব। তবে করোনা আবহে গত বছর পুজোয় মানুষের জমায়েতকে ঘিরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। এবার পুজোর সময় রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা এখন থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে না। তবে পুজোর প্রায় ২ মাস আগে থেকেই দুর্গোৎসবকে আন্তর্জাতিক উৎসবের স্বীকৃতি দেওযার জন্য ফের ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানায়েছিল রাজ্যের পর্যটন দফতর। অর্থমূল্যে দুর্গাপুজো প্রায় ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকার উৎসব। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু মানুষের জীবিকা। বিভিন্ন পেশার বহু মানুষ এই সময় লাভের মুখ দেখে। এই উৎসব সংক্রান্ত যাবতীয় চিত্র তুলে ধরে আবারও ইউনেস্কোর দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। দুর্গাপুজোকে ঘিরে রাজ্য সরকারের তৈরি একটি তথ্যচিত্রও পাঠানো হয়েছিল ইউনেস্কোতে। এর আগে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভাবনা ইউনেস্কো কর্তাদের নজর কেড়েছিল। কিন্তু ইউনেস্কোর তরফে সেই স্বীকৃতি মেলেনি তখন।
