বুধবার কলকাতা পুরভোটের প্রচারসভা থেকে পরপর নির্দেশ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি থেকে গরিবদের জন্য অল্প পয়সায় কমিউনিটি হল ভাড়া দেওয়ার পরামর্শ, প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এমনই নানান পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাহলে কি কলকাতার মেয়র পদে ফের ফিরহাদকেই চাইছেন মমতা? দলনেন্ত্রীর এমন নির্দেশিকা সেই জল্পনা বাড়িয়ে দিল। এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। যেদিন পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় সেদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনাদের মেয়র পদপ্রার্থী কে?” তিনি জানিয়েছিলেন, “এভাবে আমাদের পদপ্রার্থী ঠিক হয় না। দলের মধ্যে আলোচনা করে এটা ঠিক হয়।” কিন্তু পুরভোটের মুখে এসে মঞ্চে ফিরহাদকে ডেকে ডেকে নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি পরবর্তী মেয়র ফিরহাদই? এদিন প্রচারের মঞ্চ থেকে দলনেতাদের সামনে সেই বার্তাই দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, গোয়া থেকে ফিরেই পুরভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন মমতা। আজ ফুলবাগানে প্রথম প্রচারসভা ছিল তাঁর। সেই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে রাখতে হঠাৎই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়রকে কলকাতায় অতিরিক্ত বুস্টার পাম্পিং স্টেশন গড়ার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, “কলকাতায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশন গড়ে দিও।” দ্রুত সেই নির্দেশ পালন করবেন বলে জানিয়ে দেন ফিরহাদও। কলকাতায় সেকেন্ড ডোজ কতজন পেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রশ্নের লক্ষ্যও ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। এমনকী, কলকাতার কমিউনিটি সেন্টারগুলির বুকিং ব্যবস্থা অনলাইন করে দেওয়ারও নির্দেশও তাঁকে দেন মমতা। বলেন, “নিম্নবিত্তদের জন্য কমিউনিটি হলের ভাড়ার ৫০ শতাংশে ছাড় দিতে হবে।” সবমিলিয়ে এদিন কলকাতার উন্নয়ন ও নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব সেই ফিরহাদের কাঁধেই দেন দলনেত্রী। আর এর জেরেই বেড়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, কলকাতার মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের ট্র্যাক রেকর্ড নজরে পড়ার মতো। সামলেছেন আমফান, ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আবার করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করার পাশাপাশি টিকাকরণের ক্ষেত্রেও মাইলফলক ছুঁয়েছে কলকাতা। ফলে সাফল্যের নিরিখে কলকাতার মেয়র পদের দৌড়ে ফিরহাদ যে কিছুটা এগিয়েই থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য।
