কলকাতা ছাড়া রাজ্যের অন্য কোন পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে পুরসভার নির্বাচন যে আসন্ন, তা জঙ্গীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই আবহেই ফের প্রকাশ্যে এসে পড়ল বামেদের ‘রাম’-যোগ। এবার বাঁকুড়ায় সিপিএম নেতা-নেত্রীর বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপি বিধায়ক! এই সাক্ষাতের কারণ নিতান্তই সৌজন্য বিনিময় না জোটের আহ্বান, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু। এদিকে, বিজেপি বিধায়ক রাম-বাম জোট বাঁধতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যেতে বাঁকুড়া শহরের কমরার মাঠ এলাকায় প্রবীণ সিপিএম নেতা কিঙ্কর প্রসাদের বাড়িতে আচমকা হাজির হয়ে যান বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানা। হাতে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে সিপিএমের লড়াকু নেতার সঙ্গে বিজেপি বিধায়কের এই সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। প্রায় মিনিট ১০ থাকার পরে ওই এলাকায় আর এক সিপিএম নেতার বাড়িতে যান বিধায়ক। এরপর বাঁকুড়া শহরের শুভঙ্কর সরণী এলাকায় বাঁকুড়া পুরসভার সিপিএমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেত্রী শিউলী মিদ্যার বাড়িতে হাজির হন বিজেপি বিধায়ক। নিরাপত্তারক্ষীদের বাইরে রেখে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে ঢুকে পড়েন সিপিএম নেত্রীর বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ চলে দুজনের মধ্যে কথোপকথন।
প্রসঙ্গত গত ৪ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার মাচানতলায় প্রকাশ্য সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কন্ঠে শোনা গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও প্রবীণ সিপিএম নেতা বাসুদেব আচারিয়ার প্রশংসা। বিজেপি রাজ্য সভাপতির সিপিআইএম নেতাকে নিয়ে প্রশংসার সুরকে রাজনৈতিক মহল সিপিএমকে কাছে টানার কৌশল বলে মনে করছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দেখানো পথে হেঁটেই বাঁকুড়ায় সিপিএম নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে হজির হয়ে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানা। এই সাক্ষাতকে দুই পক্ষ সৌজন্যমূলক দাবি করলেও তৃণমূল অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। তারা এই সাক্ষাতকে সিপিএম-বিজেপির জোট বাধার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে।