বজরং দলের হুমকিতে বন্ধ হয়ে গেল ‘পাকিস্তানি ফুড ফেস্টিভ্যাল।’ গুজরাতের সুরাটে একটি রেস্তরাঁয় এই ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয়দের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগবে এই যুক্তিতে বজরং দলের সমর্থকেরা চড়াও হয় ওই রেস্তরাঁয়।
ফুড ফেস্টিভ্যালের হোর্ডিং ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হুমকির মুখে পড়ে শেষে ওই ফুড ফেস্টিভ্যাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, খাদ্য উৎসব চলবে। তবে উৎসবের ব্যানারে পাকিস্তান শব্দটি থাকবে না।
কংগ্রেস নেতার ওই ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। সোমবার বিকালে বজরং বাহিনী রেস্তরাঁয় গিয়ে তাণ্ডব চালায়। বজরং দলের সদস্যরা হুমকি দেয়, এই উৎসব বন্ধ না করা হলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। পরে একদল সমর্থক হোর্ডিংটি ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগানও ওঠে।
স্থানীয় বজরং দলের নেতা দেবীপ্রসাদ দুবের দাবি, হোডিং জ্বালানোর ব্যাপারে তাঁরা দলের দক্ষিণ গুজরাতের নেতা দীনেশ নাভাদিয়ার অনুমতিও নিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, রেস্তরাঁর মালিক এর জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।
১২ ডিসেম্বর থেকে টেস্ট অফ ইন্ডিয়া নামের ওই রেস্তরাঁয় এই পাকিস্তানি ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। চলার কথা ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনেই রেস্তরাঁয় চলে বজরং দলের তাণ্ডব।
সূত্রের খবর, হোর্ডিংটি প্রথমে নজরে আসে সুরাটের প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলার আসলাম সাইকেলওয়ালার। তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিও পোস্টে লেখা হয়, এই কাণ্ড যদি কোনও বিরোধী দল করত তাহলে বিজেপি রেস্তরাঁ মালিককে ‘দেশদ্রোহী’ বলে দাগিয়ে দিত।