দলীয় মুখপত্রে ফের কংগ্রেসকে বার্তা তৃণমূলের । দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় উল্লেখ রয়েছে, ‘কংগ্রেস-সিপিএমের আগে ছিল গোপন আঁতাঁত। এখন প্রকাশ্যে সেটি৷ নিট ফল দুই দলই বাংলায় শূন্য। এই অবস্থায় গোয়ায় লড়াই করছে তৃণমূল’৷ তৃণমূলের সাফ কথা, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে গোয়ায় লড়বে তৃণমূল। সঙ্গে রয়েছে জোট৷ কংগ্রেস এলে ভাল। কিন্তু কংগ্রেসের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকবে না। লড়াই টুইটে হয় না। মাঠে নেমে লড়তে হয়। ফলে লড়াই হবে৷ খেলা হবে। মানুষ বাংলার মতো গোয়াতেও প্রমাণ করবেন, দেশে আসল কংগ্রেস হল তৃণমূল কংগ্রেস’।
প্রসঙ্গত, গোয়ায় এই মুহূর্তে রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, গোটা দেশে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়, রাখে না৷ আর তৃণমূল কংগ্রেস তা একশো শতাংশ পূর্ণ করে৷
কিছুদন আগেই ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে ‘রণক্লান্ত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল, ‘বিজেপিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল কংগ্রেসের। তারাই ছিল কেন্দ্রের বিরোধী দল। কংগ্রেস উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত, অন্তদ্বন্দ আর দলীয় জটিলতায় বিদীর্ণ। ব্যাটন বইতে অপারগ। সময় পড়ে থাকে না, কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। তৃণমূল সেই দায়িত্ব পালন করবে। তারাই আসল কংগ্রেস।’
তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছিল, ‘সকলকে নিয়েই চলতে চান অভিষেকরা। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই, আন্দোলন বিমুখ কংগ্রেস এখন যেন ডিপফ্রিজে। নেতারা টুইট সর্বস্ব। ইউপিএ ভগ্ন। আর কংগ্রেসের এই অচলাবস্থায় বিকল্প বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সর্বজনগ্রাহ্য এবং জনপ্রিয়। তাঁর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছিল।