এবার উলুবেড়িয়ার বানিবন পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন ১৫ জন সদস্য আর বিজেপির পক্ষে ভোট দেন ৯ জন সদস্য।২৪টি আসন বিশিষ্ট বানিবন গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৪ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ১৩টি আসনের দখল করে এবং তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি আসন পেয়েছিল। বিজেপির বোর্ড গঠন করেছিল। গত ৩০ শে নভেম্বর অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে বিজেপির ৪ সদস্য ও ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ সদস্য ভোট দেয় তৃণমূলে। গত ৩০শে নভেম্বর ভোটাভুটিতে ১৫-৯ ফলাফলে বানিবন পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আজ প্রধান নির্বাচনেও ১৫-৯ ফলে জয় লাভ করল তারা। নতুন প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের শরিফা বেগম। উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “এই কেন্দ্রের ৩ টি পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃনমূল। বাকি একটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল খুব তাড়াতাড়ি নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বানিবন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল। গত ১৯শে আগস্ট উলুবেড়িয়ার করাতবেড়িয়া তৃণমূল পার্টি অফিসে উলবেরিয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজীর নেতৃত্বে একজন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিনিধি এবং পাঁচজন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরই গত ২৬শে আগস্ট উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। বিজেপি এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এরপর বিজেপির হাওড়া জেলা গ্রামীণের সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল এক সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিলেন যে, ওই পঞ্চায়েতের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে। আপাতত ওই পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দলে টানার চেষ্টা করেছিল। তারা আইনি লড়াইয়ের সাহায্য নিয়ে রুখে দিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া গ্রামীণ-এর চেয়ারম্যান ও বিধায়ক সমীর পাঁজা জানিয়েছিলেন, তিনি অর্ডারের কপি হাতে পাননি। তবে তারা কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবেন। তিনি জানান, যারা বিজেপির থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তারা নিজের ইচ্ছায় এসেছিলেন। এরপর ৩০শে নভেম্বর পঞ্চায়েতে আস্থায় ভোট হয়েছিল।
