তাঁর স্ত্রী ছিলেন বিজেপির কাউন্সিলর। তিনি নিজেও বিজেপির সক্রিয় সদস্য। এক আকস্মিক দুর্ঘটনায় ছারখার হয়েছে সংসার। দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন স্ত্রীকে। চেয়েছিলেন এই দুঃসময়ে দল পাশে থাকুক। চেয়েছিলেন স্ত্রীর ওয়ার্ডেই দল তাঁকে প্রার্থী করুক। কিন্তু তাঁর সেই দাবি, অনুরোধ, প্রত্যাশা কোনওটারই দাম দেয়নি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কার্যত তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে বিজেপি। তাই বাধ্য হয়ে এবং এলাকাবাসী ও প্রয়াত স্ত্রীর অনুগামীদের অনুরোধে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এবার তিনিই মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিজেপির অন্দরের ক্ষমতারবিন্যাস নিয়ে। সাফ জানালেন, দলে থাকা কিছু শকুনি মামাই বাংলায় বিজেপিকে শেষ করে দিচ্ছে। তাঁরাই তাঁর নাম ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী তালিকা থেকে কেটেছেঁটে ফেলে দিয়েছে। তিনি গৌরব বিশ্বাস। কলকাতা পুরনিগমের ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী।
উল্লেখ্য, গৌরববাবুর লড়াই এবার শুধু বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধেই নয়, তাঁকে লড়াই করতে হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধেও। সেই প্রার্থীও কিন্তু হেভিওয়েট। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু। তবে গৌরবের আসল লড়াই বিজেপিতে লুকিয়ে থাকা ‘শকুনি মামা’দের বিরুদ্ধে। গৌরবের দাবি, এই শকুনি মামারাই বিজেপিতে বসে থেকে কার্যত তৃণমূলের হয়ে কাজ করে চলেছে। তাঁর সন্দেহ, তিস্তা জীবিত থাকলেও তাঁকেও হয়তো টিকিট দেওয়া হতো না। এখন ঠিক যেভাবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নামে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই ভাবে তিস্তার নামও হয়তো কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হতো। কার্যত ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এইসব নোংরামি করা হচ্ছে বলে তাঁর মত। যোগ্য ব্যক্তিদের নাম দলের প্রার্থী তালিকা থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে গৌরববাবুর আশা, আগামী ১৯শে ডিসেম্বর যদি ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারেন তাহলে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁকেই নির্বাচিত করবেন।