বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এবার বিএসএফ ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স তথা বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে সীমান্ত অঞ্চলে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। তাতেই কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চেয়েছে উচ্চ আদালত।
সম্প্রতি বিএসএফ, আরপিএফ এবং সিআইএসএফের নজরদারির পরিধি আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। শুধু বাংলাতেই নয়, পাঞ্জাব, হরিয়ানাতেও এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বাংলার সীমান্তবর্তী ৯ জেলায় বিএসএফের ক্ষমতার পরিধি আগে ছিল ১৫ কিলোমিটার। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বাংলার শাসকদল তৃণমূল শুরু থেকেই এর মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এমনকি বাংলার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদেরও দেখা গেছে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে। অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের উপর যথেচ্চ অত্যাচার চালায় বিএসএফ। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগও রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকার। সেই মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই এই হলফনামা দিয়ে এমন পদক্ষেপের কারণ দর্শাতে হবে, জানিয়েছেন বিচারপতি।