গত কয়েক মাসে দেশের একাধিক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে বিজেপি। উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, কর্ণাটকের পর এবার কি গোয়ার পালা? ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এমন জল্পনা। কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় সীমা খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ জল্পনা সত্যি হলে, প্রমোদ সাওয়ান্তের পদত্যাগ কেবল সময়ের অপেক্ষা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের দাপটে চোখে সর্ষে ফুল দেখছে উপকূলরাজ্যের শাসকদল বিজেপি। ক্রমেই গোয়ার মাটিতে নিজেদের রাজনৈতিক জমি শক্ত করে চলেছে তৃণমূল। আর তাতেই আশঙ্কিত বিজেপি। সূত্র অনুযায়ী, ঘাসফুল শিবিরকে রুখতে বিজেপির দিল্লীর নেতারা চাইছেন অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করে নিয়ে আসতে।
উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এই অবস্থায় গোয়ার ক্ষমতা দখলে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই নতুন কাউকে সামনে এনে চেষ্টায় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হতে পারে। কিছুদিন আগেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন গোয়ার প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তাঁর দাবি, গোয়া সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ। দুর্নীতির অভিযোগে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। সাওয়ান্তের ইস্তফার দাবিতে গোয়ার রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আসন্ন নির্বাচনের সময় যত এগোচ্ছে, গোয়ায় ততই জোড়াফুলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃণমূলের আগমনে গোয়া বিজেপির আত্মবিশ্বাস যে একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে, কার্যত তা নিশ্চিত করে দিল মুখ্যমন্ত্রী বদলের এই জল্পনাই।
