সিবিএসই বোর্ডে দশম শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রবল বির্তক। সেই বিতর্ক এবার সংসদে তুলে মোদী সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া এও দাবি জানিয়েছেন, সিবিএসই বোর্ডকে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হবে। গত শনিবার সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি অনুচ্ছেদ থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল, নারীদের স্বাধীনতার কারণেই কী ভাবে সামাজিক সমস্যাগুলি জটিল আকার নিচ্ছে?
প্রসঙ্গত, যে অনুচ্ছেদ থেকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল সেখানে লেখা ছিল, নারীদের এই অতিরিক্ত স্বাধীনতা পাওয়ার ফলেই সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। স্ত্রীয়েরা স্বামীর আনুগত্য মানছেন না। ফলে সন্তানরাও শৃঙ্খলাপরায়ণ হচ্ছে না। যা সামাজিক জীবনে অভিঘাত তৈরি করছে। এপ্রসঙ্গে এদিন সোনিয়া বলেন, “মহিলাদের প্রতি এই অসম্মানজনক বিষয় কী ভাবে সিবিএসই’র মতো বোর্ড প্রশ্নপত্রে রাখতে পারে? গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে লজ্জাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, এটা তারই নমুনা।” সেইসঙ্গে সংসদের জিরো আওয়ারের বক্তৃতায় সোনিয়া আরও বলেন, “আমি সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা সচেতন থাকুন। এই ধরনের পশ্চাদগামী বিষয় যেখানে যেখানে রয়েছে তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন।”
টুইট করে বিজেপি, আরএসএসের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের মতে, এ হল টিপিক্যাল বিজেপি-আরএসএসের মনোভাব। যা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকে চুরমার করে দিতে চায়। পড়ুয়াদের উদ্দেশে রাহুল বলেছেন, “তোমরা ভাল করে পড়াশোনা করো। কিন্তু কখনও অন্ধবিশ্বাসে ডুবে যেও না।” উল্লেখ্য, শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন নয়। অনেকের মতে, মোদী সরকার আসার পর থেকে তা আরও তীব্র গতিতে ছুটতে শুরু করেছে। দেশের একাধিক শিক্ষাবিদের বক্তব্য, “যা ছিল এতদিন সঙ্ঘের সিলেবাস, সেটাই এবারে আস্তে আস্তে মেইনস্ট্রিমে নিয়ে আসা হচ্ছে। সিবিএসই’র এই প্রশ্ন তারই প্রতিফলন।”