চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ত্রিপুরার পর এবার তাদের লক্ষ্য। আর তাই রবিবার ফের তিনদিনের সফরে গোয়া গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেখানে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে নেতা-কর্মীদের আগামীদিনে গোয়ায় জোড়াফুল ফোটানোর রূপরেখা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও নিশানা করেছেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, ‘রাজভবনে বসে আছে এক রাজা, যিনি নিজেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ওপরে ভাবেন, উনি যা পারেন করুক, আমরা লড়াই করব’। তবে শুধু রাজ্যপাল নয়, এদিন তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকেও নিশানা করেন। বলেন, বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনা, শুধুমাত্র এজেন্সি ব্যবহার করে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দ্বীপ রাজ্যে ঘর গোছানো শুরু করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে যেখানে যেখানে বিজেপির সরকার আছে, সেখানেই নিজেদের সংগঠন তৈরি করবে তৃণমূল। সেই মতো আসাম, ত্রিপুরার পর পশ্চিমের রাজ্য গোয়ার দিকে নজর দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সোমবার গোয়ার আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চার্চিল আলেমাও দলে যোগ দিয়েছেন। তবে শক্তি বাড়লেই যে গোয়ায় ক্ষমতা দখল অত সহজে হবে না বাংলার রাজ্যপালের প্রসঙ্গও টেনে এদিন সে কথাই গোয়ার স্থানীয় নেতা-নেত্রীদের বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। ধনকরের নাম না নিয়েই তিনি বুঝিয়ে দেন প্রতি পদে বাঁধা আসবে গোয়াতেও। মমতা এদিন যেমন বাংলার রাজ্যপালকে ‘রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছেন, তেমনই স্পষ্ট ভাষায় তাঁকে বিজেপি নেতার তকমাও দিয়েছেন।