রবিবারই দ্বীপরাজ্য গোয়ায় পৌঁছে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে গোয়া বিমানবন্দরে নামেন মমতা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ ও ১৪ই ডিসেম্বর, অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার একগুচ্ছ কর্মসূচী রয়েছে মমতার। কলকাতা পুরভোট যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই মমতার গোয়া সফর ঘিরে আগ্রহ রয়েছে জাতীয় রাজনীতির দরবারে। রবিবার প্রচারে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “এটাই আমার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে সহজ পুরভোট।” হাইভোল্টেজ পুরনির্বাচনের লড়াইয়ের সামান্য আগে গোয়ার কর্মসূচীও সেকথাই জানান দিচ্ছে। তৃণমূলের বাকি নেতৃত্বের উপর দায়িত্বভার দিয়ে মমতা চলেছেন বড় যুদ্ধের প্রস্তুতির লক্ষ্যে।
আগামী ১৩ই ডিসেম্বর, অর্থাৎ সোমবার বেলা একটার সময় মমতার গোয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভা রয়েছে। সেটি হবে গোয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে। এক ঘণ্টার সেই আলোচনা সভার পর গোয়ার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নেত্রী। দুপুর দু’টো থেকে গোয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারেই সেই মিটিং হবে। তার পর সাড়ে তিনটে থেকে একটি জনসভা করবেন মমতা। সোমবারের কর্মসূচীতে এই তিনটি বিষয়ই থাকছে। পরের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনটি আরও দুটি জনসভা করবেন। একটি পানাজিতে ও পরেরটি আসানোরাতে।
প্রসঙ্গত, গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সেখানে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল। সেই রণকৌশলের পথই বাতলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লুইজিনহো ফেলেইরো থেকে লিয়েন্ডার পেজ, গোয়ার রাজনীতিতে ঢেউ তুলতে অনেকদিন থেকেই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল। সেখানে কার্যত ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সব মিলিয়ে সেই যুদ্ধে মমতার সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কোনও কোনও সংবাদসংস্থা দাবি করেছে, মমতার সফরের সময় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা।