দাঁতে দাঁত চেপে, মাটি কামড়ে লড়ে গিয়েছেন দীর্ঘ ১৫টা মাস। শীত-বর্ষা মাথায় নিয়ে অতন্দ্র রাত জেগেছেন একের পর এক। অবশেষে জয় এসেছে। সফল হয়েছে কৃষক আন্দোলন। এবার উদযাপনের পালা সে আন্দোলনের কাণ্ডারীদের।
মাসখানেক আগেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, বিতর্কিত কৃষিবিল প্রত্যাহারের কথা। এই বিল নিয়েই মূল আপত্তি ছিল কৃষকদের। ছিল আরও বেশ কিছু দাবিও। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও আন্দোলন থামাননি কৃষকরা, জানিয়েছিলেন, সংসদে বিল প্রত্যাহর হলে তবেই তাঁরা শেষ করবেন আন্দোলন।
দিন চারেক আগে খবর আসে, সরকারের তরফে বিক্ষোভরত কৃষকদের লিখিত প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কৃষকদের বেশিরভাগ দাবিদাওয়াই কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে।
এর পরেই কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন বলে জানান তাঁরা। শেষমেশ এসেছে সেই সময়। ঘরে ফিরবেন কৃষকরা, তবে তার আগে করবেন বিজয় মিছিল। দিল্লীর সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমান্ত হবে কৃষকদের এই বিজয় মিছিল। গতকাল, শুক্রবারই আন্দোলন শেষ করে, মিছিল করে, কৃষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তামিলনাড়ুতে চপার দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যুর কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছে।
আজ গোছগাছ শুরু করেছেন কৃষকরা। আন্দোলন স্থলে ভেঙে ফেলা হচ্ছে অস্থায়ী আবাস। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞ। দিল্লীর কড়া ঠান্ডায়, পুলিশি অত্যাচারের সময়ে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন এলাকার মানুষ। জল, বিদ্যুৎ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তাই আজ শনিবার বিজয় মিছিল করে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মান জানিয়ে দিল্লী সীমানা থেকে বিদায় নেবেন। ফেরার আগে সেইসব মানুষদের সম্মান জানিয়ে ফুল ও মিষ্টি উপহার দিতে চান তাঁরা। আবার কৃষকরা যখন ট্র্যাক্টর নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তখন তাঁদের অভিনন্দন জানানোর জন্যও রাস্তার ধারে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে স্থানীয় উদ্যোগে।