মহম্মদবাজারে কয়লা খনির জন্য জায়গা দিলে কোনও আদিবাসী বাদ যাবে না। সব আদিবাসীর জন্য আলাদা আলাদা করে ঘর করে দেবে সরকার। প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারের কয়লা খনি নিয়ে ঘোষিত প্যাকেজকে এভাবেই সমর্থন করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
সঙ্গে মহম্মদবাজারকে সোনার মহম্মদবাজার গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, এলাকায় আদিবাসী হস্টেল, জুনিয়র স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
দেউচা পাচামিতে কয়লা খনির প্যাকেজ ঘোষণার পর শুক্রবার এই প্রথম প্রকাশ্যে সভা করল তৃণমূল। যেখানে আবার প্রায় পাঁচ ছ’হাজার আদিবাসী কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিলেন। কয়লা খনি এলাকায় না হলেও মহম্মদবাজার ব্লকেই শেওড়াকুড়ি এলাকায় কয়লা খনি নিয়ে সুদিনের কথা শোনালেন সব তৃণমূল নেতারা। বললেন, খনি হলে এলাকার কেউ বেকার থাকবেন না। সবাই চাকরি পাবেন।
যদিও মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল গাঁওতার নেতা রবীন সোরেণ, মাঝি পরগণা মহলের নেতা ঘাঁসিরাম, বাবুলালের সঙ্গে বসে এলাকার আদিবাসী উন্নয়নের কথা বলেন। অনুব্রত বলেন, “আমি মন্ত্রী নই, এমএলএ নই। একজন সাধারণ তৃণমূল কর্মী। আমি আপনাদের মতো সাধারণ কর্মী হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। নেতা হতে চাই না। মানুষের উপকারে যতরকম পরিশ্রম করতে হয় করব।”
রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, এলাকার বিধায়ক নীলাবতী সাহা, জেলা-সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়রা কয়লা হলে এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশের কথা শোনান। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মানুষকে ঠকালে ঈশ্বর ক্ষমা করবে না।গুরুজনরা মানবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে কোনওদিন ঠকাননি। গত ৩৪ বছরে আদিবাসীদের জন্য কিছু করেনি বামফ্রন্ট সরকার। এই মহম্মদবাজারে বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যকে আটকে দিয়েছিলেন আদিবাসীরা। তাদের ভুল বুঝিয়ে শুধু ভোটার করে রেখেছিল। এবার আদিবাসীদের জন্য সত্যি সুদিন আসছে। তাদের উন্নয়ন করবে মা মাটি মানুষের সরকার।”
উল্লেখ্য, এদিন শেওড়াকুড়ি মোড়ে তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র প্রদান ও নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। তার থেকেও বড় ছিল বিজেপি ছেড়ে গত সপ্তাহে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেনের ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্র। দলের দাবি, এদিন পাঁচ–ছ’হাজার আদিবাসী তৃণমূলে যোগ দিলেন।