একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে বিরাট কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো বোর্ড এবং নির্বাচকদের যৌথ সিদ্ধান্ত, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি। সাদা বলের দু’টি ফরম্যাটে দু’জন আলাদা অধিনায়কের পক্ষে ছিলেন না নির্বাচকরা। তাই বিরাটকে একদিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক রাখা হয়নি। বোর্ডও তাতে আপত্তি করেনি। সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত বোর্ড এবং নির্বাচকদের তরফে যৌথ ভাবে নেওয়া হয়েছে। বোর্ড এর আগে বিরাটকে অনুরোধ করেছিল টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে না সরতে। বিরাট রাজি হয়নি। এরপরেই নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেন, দু’টি সাদা বলের ফরম্যাটে দু’জন আলাদা অধিনায়ক রাখার অর্থ নেই। তাই ঠিক করা হয় বিরাটকে টেস্ট অধিনায়ক রাখা হবে এবং সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবে রোহিত। আমি নিজে সভাপতি হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে বিরাটের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানও ওর সঙ্গে কথা বলেছেন।”
পাশাপাশি একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে অবদানের জন্য বিরাটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌরভ। একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। বোর্ড সভাপতির কথায়, “রোহিত শর্মার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বিরাট টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে থাকছে। বোর্ডে আমরা যারা রয়েছি, তারা এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে ভারতীয় ক্রিকেটে সঠিক হাতেই রয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে অবদানের জন্য বিরাটকে অনেক ধন্যবাদ।” উল্লেখ্য, বুধবার রাতে বিরাটকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর পর থেকেই বোর্ডের সমালোচনা করছিলেন সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছিলেন, বিরাটের প্রতি যে ব্যবহার করা হয়েছে তা অন্যায্য। অনেকে এও বলেছিলেন, বোর্ডের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় অতিক্রান্ত হওয়াতেই বিরাটের থেকে নেতৃত্ব কাড়া হয়েছে। তবে সৌরভের কথায় পরিষ্কার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভারত অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে ৯৫টি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিরাট। এর মধ্যে ৬৫টি ম্যাচে তিনি জিতেছেন। তাঁর অধীনে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল দল। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল তাদের।
