এর আগে রাজ্যসভায় চেয়েও শোকজ্ঞাপন করতে পারেননি তাঁরা। মেলেনি অনুমতি। শুক্রবার বিপিন রাওয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার, মৌসম নুর এবং সুস্মিতা দেব। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যরাও প্রয়াত সেনাপ্রধানকে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, মুলায়ম সিং যাদব, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা প্রমুখ শ্রদ্ধা জানান। তৃণমূলের তরফে টুইটে লেখা হয়, “সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী এবং অন্যান্য সেনাকর্মীদের অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে, আজ আমাদের নেতারা মৃতদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আপনাদের নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের মাতৃভূমি কখনও ভুলবে না।” বৃহস্পতিবার রাতে তামিলনাড়ু থেকে দিল্লীতে নিয়ে আসা হয় জেনারেল রাওয়াত এবং বাকি ১২ জনকে। রাতেই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তে তিন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করল বায়ুসেনা। বুধবার দুপুরে সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিপিন রাওয়াতের চপার। কুন্নুরের নীলগিরিতে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে৷ কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই নিহত হন। দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত সস্ত্রীক প্রাণ হারিয়েছেন৷ এই দুর্ঘটনায় কপ্টারের একজনই জীবিত রয়েছেন। তিনি গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। বায়ুসেনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, কুয়াশা পড়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। সম্ভবত সেই কারণেই চপারটি নীলগিরির ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ার আগে একটি গাছে ধাক্কা মারে। তার পরেই আগুন ধরে যায়। সস্ত্রীক জেনারল বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জন মারা যান। অন্য একটি সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই সেনা চপারে আগুন ধরে গিয়েছিল। চপারের যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে।
