এবার আসন্ন কলকাতা পুরভোটে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানালেন খোদ বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী। শুধু তাই নয়। পুত্র ও পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের সভামঞ্চে উঠে বিজেপি বিরোধী বক্তব্যও রাখলেন ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ সরকারের স্ত্রী লপিতা সরকার।
প্রসঙ্গত, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে উঠে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন লপিতাদেবী। তিনি বলেন, ‘একের পর আজ জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। সমস্ত লাভজনক সরকারি সংস্থাকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি নামে একের পর একের পর জুমলা। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সামাজিক প্রকল্প মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রশংসা করেছেন। তাই বিজেপি নয়, নিজেদের ভালোর জন্য কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তৃণমূলকে ভোট দিন। বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না।’
স্বামী গৌরাঙ্গ সরকার পুরভোটে বিজেপি প্রার্থী। এ প্রসঙ্গে লপিতাদেবী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সকলের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। কে কোন দলকে সমর্থন করবেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। প্রত্যেকের মত প্রকাশের অধিকার থাকা দরকার। ওনার মনে হয়েছে বিজেপি ঠিক, তাই তাদের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আমার ও আমার ছেলে-বৌয়ের মনে হয়েছে, তৃণমূলকে সমর্থন করা দরকার, তাই আমরা সেটাই করছি। তবে গৌরাঙ্গবাবু সরাসরি বিজেপির ভোটে নাই দাঁড়াতে পারতেন। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমরা তাঁর সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছি।’ তিনি এও জানান, সরাসরি তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরে আগে কখনও রাস্তায় না নামলেও তিনি দীর্ঘদিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক। বিধানসভা ভোটের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের সমর্থনে লাগাতার বিজেপি বিরোধী প্রচার চালিয়েছেন তিনি।