রাজ্য মন্ত্রীসভার তরফে মিলেছে সবুজ সংকেত। এবার থেকে রাজ্যেই তৈরি হবে সবুজ সাথীর সাইকেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৫ সালে প্রথম সবুজ সাথী প্রকল্পটি গ্রহণ করে। ২০২০-এর সেপ্টেম্বরে, ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউ এস আই এস) বিশ্বের প্রায় ৮০০ টি প্রকল্পের মধ্যে থেকে বাংলার সবুজ সাথী প্রকল্পকে পুরস্কৃত করে। এই প্রকল্পের অধীনে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিনামূল্যে সাইকেল প্রদান করে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক কোটিরও বেশি সাইকলে বিতরণ করা হয়ে গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আরও কুড়ি লক্ষ সাইকেল সবুজ সাথী প্রকল্পের অধীনে প্রদান করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যেহেতু পড়ুয়াদের এই সাইকেল প্রদান করা হয় তাই প্রতিবছরই রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণের সাইকেল প্রয়োজন। তাই চাহিদা অনুযায়ী সাইকেলের যোগান বজায় রাখতে রাজ্যেই সাইকেল কারখানা গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বিভিন্ন বাইসাইকেল কোম্পানি রাজ্যে কারখানা গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কারখানা তৈরি হলে তা থেকে উৎপাদিত সাইকেলের প্রায় ৫০ শতাংশ সাইকেল সবুজ সাথী প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার কিনে নেবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে কারখানা স্থাপন হলে স্বাভাবিকভাবেই তা নতুন কর্মসংস্থান যোগাবে। বাংলায় সাইকেল কারখানা তৈরির বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে এদিনের বৈঠকে, এবার টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু করার অপেক্ষা। এদিনের বৈঠকে রাজ্যে পঞ্চায়েতস্তরে ৪৮৬ টি নতুন পদ সৃষ্টির বিষয়ও রাজ্যমন্ত্রীসভার সম্মতি মিলেছে। এদিনের মন্ত্রীসভার বৈঠকে, সকল সদস্যদের বড়দিন-উৎসবের মরসুম উপলক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় থেকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।