এবার চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলন্ত গাড়ির ভিতর আদিবাসী যুবতীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে জনৈক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সৌম্যদীপ নাহা। মঙ্গলবার বীরপাড়ার রবীন্দ্রনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাবা প্রশান্ত নাহা স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বীরপাড়া পুলিশের সহযোগিতায় জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানার পুলিশে প্রশান্তবাবুদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তারপর বাড়ি থেকে সৌম্যদীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবিষয়ে জলপাইগুড়ির ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা বলেন, এক আদিবাসী যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে বীরপাড়ার এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের সরকারপক্ষের আইনজীবী পিন্টু দেব সংবাদমাধ্যমকে জানান, আদালত ধৃত যুবককে জামিন দিয়েছে।
পুলিস সূত্র অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানা এলাকার ওই আদিবাসী যুবতীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ই নভেম্বর ময়নাগুড়িতে ডাকেন সৌম্যদীপ। ময়নাগুড়িতে তিনি গাড়িতে তুলে নেন ওই যুবতীকে। অভিযোগ, গাড়িতে যুবতীকে সৌম্যদীপ বলেন, চাকরি পেতে কয়েক দিন দেরি হবে। তার পরই যুবতীর শ্লীলতাহানি করে যুবতীকে গাড়ি থেকে ফাঁকা রাস্তায় নামিয়ে দেন ওই যুবক। সৌম্যদীপ অবশ্য বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শুনে অবাক হয়ে গিয়েছি। শামুকতলার কোনও আদিবাসী যুবতীকে আমি চিনিই না। আমি কোনও যুবতীকে ময়নাগুড়িতে ডেকেও আনিনি। আমার মা অসুস্থ। মায়ের চিকিৎসার জন্য অনেক দিন ধরে কলকাতায় রয়েছি। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পুরোটাই ষড়যন্ত্র। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সৌম্যদীপের বাবা প্রশান্তবাবু একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি পদে ছিলেন। গত বিধানসভা ভোটের আগে তিনি কলকাতায় গিয়ে গেরুয়াশিবিরে নাম লেখান।
