দুশ্চিন্তা বাড়ল বিজেপির। জঙ্গলমহলে অব্যাহত পদ্মশিবিরের ভাঙন। একদিকে যেমন পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে খড়্গপুরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেছেন দলে দলে। যা স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে গেরুয়া-নেতৃত্বের। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের নয়াবসত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা, গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাজীব ঘোষ ও যুব সভাপতি সাগর মন্ডল সহ আরো অনেকে। ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে ওই এলাকার পাঁচটি বুথের বিজেপির সভাপতি সহ বিজেপির সক্রিয় শতাধিক কর্মী বিজেপি দল ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
যোগদানকারীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা রোড ও নয়াবসত এলাকায় বিজেপি একসময় শক্তিশালী ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এই এলাকা থেকে কয়েকটি আসনে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই দলে দলে মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপির ঝান্ডা ধরার কেউ থাকবে না।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি জাতপাত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। মানুষের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি । তাই বিজেপিকে শুধু বাংলা থেকে নয় সারা ভারতবর্ষ থেকে বিদায় জানানোর জন্য সারা দেশের মানুষ এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।” সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী করে তোলার জন্য হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।