প্রচারে বেরিয়ে এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। সেই সঙ্গে এলাকার মানুষদের অভিযোগ শুনে দ্রুত পদক্ষেপও করছেন দক্ষিণ কলকাতার ৯৫ ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর তথা তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্ত। যদিও এলাকায় দাপুটে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগ নেই এলাকাবাসীর। তবে বিদায়ী কো-অর্ডিনেটরকে কাছে পেয়ে দীর্ঘদিনের কিছু সমস্যাই তুলে ধরছেন তাঁরা। আর তা শোনামাত্রই পদক্ষেপ করছেন তপনবাবু।
মঙ্গলবার সকাল হতেই দলীয় কর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ৬০-এর গন্ডি পেরানো তপনবাবু। প্রচারে বেরোনোর আগে নতুন করে করোনার উপদ্রব শুরু হওয়া গান্ধীনগর কলোনিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্যানিটাইজেশনের কাজে হাত লাগান। নির্দেশ দেন, ঠিক করে স্যানিটাইজেশন করার। এরপর সেখান থেকেই তিনি যান নিজের ওয়ার্ড সমাজগড়ে। এলাকার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে ঘুরে শোনেন অভাব-অভিযোগ। আশ্বাসও দেন দ্রুত সমাধানের।
যেমন এলাকার বাসিন্দা বছর ৫৫-এর চন্দ্রা সাহা তপনবাবুকে পেয়ে তাঁকে জানান, ‘এই রাস্তাটা অনেকদিন থেকে এই অবস্থা এটা একটু দেখবেন।’ মন দিয়ে সেই সমস্যার কথা শোনেন তিনি। এলাকার বাসিন্দা সৌরভ নাগও গলির রাস্তা মেরামতির সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁর কাছে। এরপরই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন তপনবাবু। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে তিনি নির্দেশ দেন, ভোটের আগে যেন রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যায়।
প্রচারে বেরিয়ে শুধু নিজের দলের মানুষের কাছেই নয়, পৌঁছে যান এলাকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও। দেখা করেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সিপিএম নেতা সঞ্জয় ভট্টাচার্যের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর নন, ১০ নম্বর বরোর বিদায়ী চেয়ারম্যান তপনবাবু। পুরসভার ৮১, ৮৯, ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯ ও ১০০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১০ নম্বর বরো।