বাংলায় তৃণমূলের জয়রথ অব্যাহত রেখে এখন ঘাসফুলের শাখা-প্রশাখা অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত সংস্থা আই-প্যাক। এবার তাঁরা তেলাঙ্গানায় পা রাখতে চলেছে। তেলাঙ্গানায় বিগত দিনে বিজেপির অস্তিত্ব না থাকলেও সাম্প্রতিককালে সেখানে বিজেপি ধীরে ধীরে জমি শক্ত করছে। হায়দ্রাবাদ পুর নির্বাচন থেকে শুরু করে বিধানসভা উপনির্বাচন, সব ক্ষেত্রেই বিজেপি ছাপ ফেলতে সমর্থ হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও সেই রাজ্য থেকে চারটি আসন জিতেছিল বিজেপি। এহেন পরিস্থিতিতে তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমীতিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর তাই বিজেপিকে ঠেকাতে টিআরএস এবার আইপ্যাকের পরামর্শে চলতে পারে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তি হতে পারে টিআরএসের। ইতিমধ্যেই পিকের পরামর্শে আইপ্যাকের এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে টিআরএস নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহেই সেই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। যদিও কয়েকদিন আগে জগন মোহন রেড্ডির বোনকে তেলাঙ্গানায় নতুন দল লঞ্চ করতে সাহায্য করে আইপ্যাক। সেই ক্ষেত্রে টিআরএসের সঙ্গে আইপ্যাকের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
তৃণমূল ছাড়া প্রশান্ত কিশোর বিগত দিনে তামিলনাড়ুতে ডিএমকেকে পামর্শ দিয়েছেন। এদিকে বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময়ে শরদ পাওয়ার, রাহুল গান্ধীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিকে। এক সময় তাঁর কংগ্রেস যোগ নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেলেও পরবর্তীতে কংগ্রেস বিরোধিতার সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। এই আবহে বিজেপি বিরোধী আরও এক আঞ্চলিক দলকে পরামর্শ দেবেন পিকে বা তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত সংস্থা আইপ্যাক। এই আবহে তৃণমূলেরও দল ভারী হতে পারে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এরই মাঝে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে ঘাসফুল শিবিরের জমি শক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আইপ্যাক।