কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব মেনে নিয়ে কি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন কৃষকরা? বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কৃষক সংযুক্ত মোর্চা। যদিও এই বিষয়ে গুরনাম সিংহ চুর্ণি জানিয়েছেন, “আমরা তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের বিষয়ে আমাদের দাবিতে কেন্দ্রের দেওয়া সংশোধিত বিলটি গ্রহণ করেছি। কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বৃহস্পতিবার আবার একটি বৈঠক করব।” তবে, তিনি জানাতে ভোলেননি যে কৃষক আন্দোলন এখনও চলছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ৪ তারিখে কৃষক নেতাদের ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার রাতে ফোন করে কৃষকদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি৷ গত দেড় বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র৷ তার পরেও আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেননি কৃষকরা৷ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে নতুন করে কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা৷ এই আবহে কৃষকদের কাছে অমিত শাহের ফোন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ এমএসপি-সহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে শনিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন কৃষকরা৷ ঠিক হয়েছিল পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল বা কমিটি তৈরি করা হবে৷ সেই কমিটির সদস্যরা যাবেন অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলতে৷
