রবিবার ভোরে নাগাল্যান্ডে জঙ্গী দমন অভিযান চালিয়েছিল আসাম রাইফেলস। আর সেই অভিযানেই প্রাণ গিয়েছে ১৪ জন সাধারণ নাগরিকের। মারা গিয়েছেন একজন সেনা জওয়ানও। এই ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় বলেন, নাগাল্যান্ডের ঘটনা নিয়ে সরকার দুঃখপ্রকাশ করছে। কীভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে সিট। একমাসের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে। তবে এরপরে নাগা জনজাতির সংগঠন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি করা হয়েছে। তার মধ্যে আছে, দোষী নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। ওই রাজ্যে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষী সংগঠনকে যে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে, তাও প্রত্যাহার করতে হবে।
কোনিয়াক নাগা উপজাতির সংগঠন কোনিয়াক ইউনিয়নের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে একটি স্মারক লিপি পাঠানো হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর তদন্তে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটির অন্তত দু’জন সদস্য হবেন নাগা নাগরিক সমাজের সদস্য। মন জেলায় হত্যাকাণ্ডে দায়ী নিরাপত্তারক্ষীদের আইনানুগ পথে শাস্তি দিতে হবে। কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে, প্রকাশ্যে জানাতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। এরপরে দাবি জানানো হয়েছে, মন জেলা থেকে অসম রাইফেলসকে প্রত্যাহার করতে হবে। পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করতে হবে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা)।
