বাংলার ঐক্য, সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবারও পালিত হল সংহতি দিবস। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ করে আসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মেয়ো রোডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা।
উল্লেখ্য, দেশের সম্প্রীতি ও একতা রক্ষার ক্ষেত্রে বরাবর সরব থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় সম্প্রীতির আবহ যাতে বজায় থাকে তার জন্য সচেষ্ট থেকেছেন বিরোধী নেত্রী থাকার সময় থেকেই। ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার পর এবিষয়ে বিশেষ করে নজর দিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পর নিয়ম করে সংহতি দিবস পালন করে আসছে দল।
প্রসঙ্গত, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাংলায় সবাই যাতে শান্তিতে থাকতে পারেন, নিজের মতো করে ধর্মাচারণ করতে পারেন সেকথাই এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্যরা। ধর্মগুরুরা এরাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ধন্যবাদ ও কুর্ণিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রীতির বাংলায় সকলেই যাতে একসঙ্গে শান্তিতে এভাবেই থাকতে পারেন, কোনও বহিরাগত শক্তি যাতে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে তার জন্য প্রার্থনাও করেন ধর্মগুরুরা।