এবার নতুন অভিযোগে উঠল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ‘ব্যাক চ্যানেল’ দিয়ে বাছাই করা কৃষক নেতাদের ফোন করে আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এবার তাঁদের অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনের সমাপ্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ভুল বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে সরকার পক্ষ। একইসঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৭ই ডিসেম্বরই আন্দোলন শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বকেয়া দাবি পূরণে যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলনে অনড় থাকবেন কৃষকরা। রবিবার সারা ভারত কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, “কৃষকরা শখ করে গত এক বছর ধরে রাস্তায় বসে নেই। সরকার দাবি মেনে নিক। অথবা আলোচনা করে দাবিপূরণের ইতিবাচক বার্তা দিক। আন্দোলনকারীরাও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু বকেয়া দাবি আগে পূরণ করতে হবে সরকারকে। নাহলে সীমানা ছেড়ে নড়ার কোনও প্রশ্ন নেই।”
উল্লেখ্য, রবিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, “দাবি পূরণ না হলে চাষীরা দিল্লীর সীমানা থেকে নড়বেন না। এমনকী বিভিন্ন রাজ্যেও আন্দোলন চলবে।” পাশাপাশি, কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় এই মোর্চার ৩৫৭ দিন, রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুরে ৩২১ দিন, মধ্যপ্রদেশের সিওনিতে ৮১ দিন এবং মধ্যপ্রদেশেরই রেওয়াতে ৩৩৭ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। প্রতিটিতেই একইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কৃষকরা। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই কমিটির কোনও সদস্যর সঙ্গেই কেন্দ্র যোগাযোগ করেনি। এদিন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, “গত ২১শে নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি লিখে দাবিদাওয়া জানানো হয়েছিল। কোনও উত্তর আসেনি। মোর্চা আশা করছে, আগামী দু’দিনের মধ্যে সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করবে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সিঙ্ঘু সীমানায় ফের বৈঠক ডেকেছে কিষাণ মোর্চা। ওই বৈঠকেই তাঁদের আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবেন কৃষক নেতারা।