এবার পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন জিজেএম নেতা বিমল গুরুং। শনিবার কলকাতায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক সারেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। গত ২৬শে অক্টোবর কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পাহাড় নিয়ে রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট এলাকার বকেয়া থাকা পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত করার কথাও জানিয়েছিলেন মমতা। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন গুরুং। সেই সূত্রে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) ভোট করার দাবি তোলেন এই শীর্ষ গোর্খা নেতা। সূত্রের দাবি, অভিষেক পাহাড়ি নেতাদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পাহাড়বাসীর সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর, এই জোরালো বার্তাও দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। তবে জিটিএ নির্বাচনের বিষয়টি কেন্দ্রের উপর নির্ভর করছে বলেও জানান অভিষেক। প্রসঙ্গত, জিটিএ চুক্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যতম পক্ষ। স্বভাবতই মোদী সরকারের অনুমোদন ছাড়া জিটিএ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অভিষেক। তরাই, ডুয়ার্সকে জিটিএ’র আওতায় আনার দীর্ঘদিনের দাবিও জানিয়েছেন বিমল গুরুংরা।
উল্লেখ্য, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতির তরফে এদিনের বৈঠক সফল বলেই জানানো হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়ের সহযোগী মনোভাবে খুশির আমেজ পাহাড়ি নেতাদের মনে। গত সাতদিন ধরে বিমল-রোশনরা কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে পড়ে রয়েছেন। এই ক’দিনে তাঁরা রাজ্যের হাফ ডজনের বেশি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একাধিক সরকারি প্রকল্প অনুমোদন করিয়েছেন। যদিও এ যাত্রায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বিমল গুরুংয়ের। এ প্রসঙ্গে রোশন গিরি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই সময়ে নানা কাজে ব্যস্ত। আমরা আশাবাদী শীঘ্রই তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন।”